অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : আইজিপি
নাটোরে লালপুর উপজেলায় ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপার, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ঘাটচিলান গ্রামের একটি ধানের চাতালে রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে সাপটি মেরে ফেললেও উপজেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এর আগেও একাধিক বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে লালপুর উপজেলার ঘাটচিলান গ্রামের সত্যেন্দ্র নাথের ধানের চাতালের ছাইয়ের গাদার পাশে একটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মেলে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চল তীরবর্তী বসবাস করা মানুষেরা এই সাপের আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, একের পর এক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। তবে পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী এলাকার কৃষক রাজিব জানান, কিছুদিন আগে তিনি তার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখেন ধানের আঁটির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলেন। পরে দেখেন এটি একটি বিষধর রাসেল ভাইপার। এর আগে বাদশা মিয়া নামে আরেকজনের আলু ক্ষেতে আরও দুটি রাসেল ভাইপার সাপ দেখা গেছে।
কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসারুল ইসলাম শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে তার এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন থাকার জন্য তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. সুরুজ্জামান শামীম বলেন, রাসেল ভাইপার (স্থানীয় ভাবে চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া নামে পরিচিত) এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর ব্যবহার খুবই অসহিষ্ণু। লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমাট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে ব্যাপক যন্ত্রণার পর রোগীর মৃত্যু ঘটে।
তিনি আরও বলেন, সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে এই সাপ সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনোটি ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার কথা জানা যায়।
কমেন্ট