মাদকের এসআই পরিচয়ে প্রতারণা-ধর্ষণ

মাদকের এসআই পরিচয়ে প্রতারণা-ধর্ষণ

যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে প্রতারণা ও তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন বসু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। তাকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত সুমন বসু গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামের সঞ্জীব বসুর ছেলে।

পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, অভয়নগর থানার বাসিন্দা এক তরুণী কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করার পর কোনো চাকরি না পাওয়ায় অনলাইনে কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করেন। ওই তরুণীর সঙ্গে আসামি সুমন বসুর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। আসামি নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলে পরিচয় দেন। পরিচয়ের পর আসামির সঙ্গে তরুণীর মোবাইলে কথা হতো। একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে আসামির সখ্য ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণে আসামি মাঝে মধ্যে বাদীর পিতার বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। বাদীকে বিয়ে করবে প্রলোভন দেখাতেন। বাদীকে বিভিন্ন সময় যশোরের বিভিন্ন হোটেল ও নড়াইল জেলার অরুণিমা রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই যুবক।

পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, আসামি বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাদীর কাছ থেকে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ধার হিসাবে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮০ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আসামির আচরণে সন্দেহ হলে বাদী আসামির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি বিবাহিত, তার স্ত্রী সন্তান আছে। তখন বাদী তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে মঙ্গলবার অভয়নগর থানায় মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, পিবিআই যশোর টিম মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সুমন বসুকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দায় স্বীকার করেছেন। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বন্যার পানিতে স্কুলছাত্র নিখোঁজ, ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি পরবর্তী

বন্যার পানিতে স্কুলছাত্র নিখোঁজ, ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি

কমেন্ট