পঞ্চগড় সদরে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় ১২ মেট্রিক টন অবৈধ চা জব্দ
পঞ্চগড় সদরে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় সাড়ে ১২ মেট্রিক টন চা আটক করা হয়েছে। রবিবার (১৪ জুলাই) গভীর রাতে সদরের অমরখানা চাওয়াই সেতু এলাকায় চা বোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ সময় কাগজে কলমে গরমিল থাকায় এসব চা জব্দ করেন তারা।
কাস্টমস অফিস ও স্থানীয়দের মতে, চাওয়াই সেতু এলাকায় রবিবার গভীর রাতে ধাওয়া করে সুরমা অ্যান্ড পূর্ণিমা টি কম্পানি লিমিটেডের একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে।
এ সময় ভ্যানে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন (২৪০ বস্তা) চা পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। ভ্যানে থাকা চা ও কাগজ পত্রে গরমিল থাকায় সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ সময় কয়েক ঘণ্টা সময়ক্ষেপণ করায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা।
পরে কাভার্ড ভ্যানটি পঞ্চগড় সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কালোবাজারে চা বিক্রির অভিযোগে সুরমা অ্যান্ড পূর্ণিমা টি কম্পানি লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন চা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব রহুল আমিন।
অমরখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন, কারখানা মালিকদের জন্যই চা চাষিদের নাজুক অবস্থা। বেশির ভাগ কারখানা মালিক কালোবাজারে চা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছেন।
কয়েকদিন আগেও এই কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে। আবারো তারা কাগজপত্র ছাড়াই চা পাঠাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। কিন্তু কাস্টমসের কর্মকর্তাদের ভূমিকা রহস্যজনক। তারা তিন ঘণ্টা এখানে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তারা কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে নিয়ে যায়।
আমরা চাই এসব কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সেই সাথে কাস্টমসের কর্মকর্তারা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না তাও তদারকি করা হোক।
পঞ্চগড় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইবনে রাসেল বলেন, কালোবাজারে চা পাঁচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। কাগজপত্রে অসামঞ্জস্যতা থাকায় কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। কাজগপত্র যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ণ কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগেই ওই কারখানার চা আটক হওয়ায় কারখানা মালিক ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়েছেন। তাই তাকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবারো একই অপরাধে ওই কারখানার চা আটক হয়েছে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দিলেই কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমেন্ট