সেবাগ্রহীতাদের অফিসে আটকে লাপাত্তা ভূমি কর্মকর্তা, অতঃপর...

সেবাগ্রহীতাদের অফিসে আটকে লাপাত্তা ভূমি কর্মকর্তা, অতঃপর...

সকালে অফিসে গিয়ে দেখেন বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতা তার জন্য (ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা) অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তখনো অফিসে অন্য সহকর্মীরা আসেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের চেয়ারে না বসে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করেন।


এ ঘটনার পর ওই ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার (নাইব) বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (নাইব) বদরুল ইসলাম সকালে অফিসে এসে দেখেন অফিসের অফিস সহকারী ছাড়াও আর বেশ কয়েকজন উপস্থিত নেই। তাছাড়া অপেক্ষায় আছেন অনেক সেবাগ্রহীতা।


তাদের দেখে ক্ষেপে যান তিনি। এ সময় কাউকে কিছু না বলে রুমের বাইরে থেকে তালা মেরে চলে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। যাওয়ার সময় বলে যান ‘আমি না আসা পর্যন্ত তোমরা কেউ বের হতে পারবে না।’
প্রত্যক্ষদর্শী শিপন সরকার বলেন, ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সকালে আসার পর কয়েকজন সেবাগ্রহীতা ও তাদের অফিস সহায়ককে ভেতরে আটক রেখে বাইরে তালা দিয়ে চলে যায়।

পরে প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভেতরে আটক থাকাদের চিল্লাপাল্লায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে ফোন দিলে তিনি এসে তালা ভাঙেন। একজন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার এমন আচরণ আসলে খুবই দুঃখজনক।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল মতিন বলেন, সকাল ১১টার দিকে নাইব স্যার অফিসে আসেন। আসার পর অফিস সহায়ক শাহনাজ পারভিন অফিসে আসছে কি-না জানতে চান। পরে আমি বললাম আসে নাই।

এ কথা শুনে আমাদের সবাইকে ভেতরে রেখে তালা দিয়ে চলে যান। পরে অনেকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। 
এ ব্যাপারে জানতে নাইব বদরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল ধরেননি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, ওই ইউনিয়নে ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার মাথায় একটু সমস্যা আছে। যে কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এলাকা থেকে আমাকে ফোনে জানানোর পর ঘটনাস্থলে নাইবকে ফোন দেই। ফোন না ধরায় তালা ভেঙে আটকে পড়াদের বের করি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।

১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ মালামাল জব্দ পরবর্তী

১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ মালামাল জব্দ

কমেন্ট