চরফ্যাশনে পাওনা টাকা চাওয়ায় উল্টো মামলা
ভোলার চরফ্যাশনে পাওনা ১২ লাখ টাকা চাওয়ায় উল্টো মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বেকারির মালিকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পাওনাদার ব্যবসায়ী আমির হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ জানান। এ সময় তিনি মামলা প্রত্যাহার ও টাকা ফিরে পেতে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ব্যবসায়ী আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি চরফ্যাশন বাজারের বিসমিল্লাহ বেকারির মালিক ইসমাঈল ভুঁইয়ার কাছে তেল, ময়দা, চিনিসহ বিভিন্ন মাল বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা পাই।
ব্যবসায় লোকশানের মুখে পড়ায় স্থানীয় সালিস ডেকে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে ১২ লাখ টাকার স্থলে ৮ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। টাকা দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে দেনাদার তার মা হাজেরা বেগকে দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাচ্ছেন।’
আমির হোসেন আরো বলেন, ‘ইসমাঈল ভুঁইয়া আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে টাকা দিচ্ছি দিচ্ছি বলে ঘোরান। আমি টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বিএনপি করছ বলে হুমকি দিত।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ১৬ আগস্ট টাকার জন্য ইসমাঈলের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। এ ঘটনায় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড প্যানেল মেয়র তানভির আহমেদ ও দাইমোদ্দি হাওলাদার ফয়সালার দায়িত্ব নেন। উভয় পক্ষের মনোনীত সালিস তানভির আহমেদ, দাইমোদ্দি হাওলাদার অধ্যাপক ফারুক, ছালাউদ্দিন, নজরুল ইসলাম টিপু, জামাল হোসেন, ইদ্রিছ মিয়াসহ অনেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর উভয়ের বাকি খাতার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে টাকার হিসাব ঠিক থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ী ইসমাঈল ব্যবসায় লোকশানের মুখে বলে আমাকে ১২ লাখ টাকার স্থলে ৮ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন সালিসরা। দেনাদার ইসমাঈল ওই টাকা দেবে স্বীকার করে ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ লাখ টাকা এবং ৩০ নভেম্বর ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে সময় নেন।
কিছু কুচক্রী মহলে ইন্দনে টাকা দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে গত ১৬ অক্টোবর দেনাদার ইসমাঈল ভুঁইয়া তার মা হাজেরা বেগমকে বাদী করে ভোলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাওনাদার আমির হোসেনসহ ২ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইসমাঈলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয়রা বসে ফায়সালা দেওয়ার পরেও বিবাদী ইসমাঈল ভুঁইয়া বাদীর বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দিয়েছেন বলে জেনেছি।’
কমেন্ট