উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ
খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর শনিরআখড়ায় প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩০—জানুয়ারী) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে দীর্ঘ চার ঘন্টা সড়ক অবরোধে সব ধরনের সড়ক পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসের পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
নিহত মিনহাজের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাকরাইন উড়াতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে ১০—১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে পথচারীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। মিনহাজ বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন।
কদমতলী সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তার বাবা হাফেজ কারী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়,নিহত মিনহাজ তাদের সহপাঠী ছিলেন। আগষ্টে ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের পরে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদা নেয় মাহফুজ গংরা। কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে বিবাদ হয় মিনহাজের। পরে অভিযুক্ত মাহফুজ সহ কয়েকজন তাকে হুমকি দেয়। এর পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ারী জোনের ডিসি সহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় তারা হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা কথা বলেন। এ হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০৬।
কমেন্ট