ধানমণ্ডির ৩২-এ পাওয়া হাড়গোড় সংগ্রহ করেছে সিআইডি, চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গাজীপুর ধীরাশ্রম এলাকা
গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ধীরাশ্রম এলাকা। সম্প্রতি এলাকাটি বেশ আলোচিত হচ্ছে। কারণ এ এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এই হামলার জেরে সারাদেশে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এ অভিযানকে কেন্দ্র করে বর্তমানে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ধীরাশ্রম এলাকা। ঘর ছেড়েছেন অনেক নারীও।
ধীরাশ্রম এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি। শুক্রবার রাতে সেই বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সে খবরে ছুটে যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তখন মাইকে ডাকাতের এলান দিয়ে ছাত্রদের আটক করে মারধর করা হয়। এতে গুরুত্বর আহত হন অন্তত ১৪ জন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, পরিকল্পনা করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। এর জন্য গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দুষছেন তারা।
ছাত্রদের ওপর চালানো হামলার জেরে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান। এ অভিযানকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে এলাকাটি ফাঁকা হয়ে গেছে।
ধীরাশ্রম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়ির প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুপাশে অসংখ্য লাঠিসোটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত।
আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। মুখ খুলছে না কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার ছেলে-নাতি সবাই পালিয়ে গেছে। আমরাও ভয়ে আছি।’
এদিকে গতকাল থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে গাজীপুর থেকে ৮২ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এর মধ্যে জেলার পাঁচ থানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে ও মহানগরীর আট থানায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ৪২ জনকে। আটককৃত সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
কমেন্ট