অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : আইজিপি
নেত্রকোনায় ভাবিকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার দেবরের
নেত্রকোনার পূর্বধলায় গৃহবধূ লিপি আক্তারকে গলা কেটে হত্যার অন্যতম আসামি রাসেল মিয়া তার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় পূর্বধলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসেল শনিবার বিকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পায়।
পরে রোববার তাকে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে নেয়া হলে সেখানে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যায় তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবর রাসেল জানান, ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর আজিজুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন। রাসেল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লিপির ঘরে প্রবেশ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর ভোরে পূর্বধলা উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের গৃহবধূ লিপি আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে (তার স্বামীর চাচাতো ভাই) দেবর রাসেল। লিপি একই এলাকার আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।
এ সময় রাসেল নিজেও তার গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হত্যাকাণ্ডের সময় লিপির স্বামী আজিজুল বিজিবির পঞ্চগড় এলাকায় কর্মরত ছিলেন।
আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে লিপি বাড়িতেই থাকতেন।
এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর নিহত লিপির বোন ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে রাসেলসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
কমেন্ট