পাখি পাচারের দায়ে ৪ জনের কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত আকাশে উড়লো শত শত পাখি। সাভার থেকে পাচারের সময় সাত শতাধিক দেশি প্রজাতির পাখি জব্দ করে বনবিভাগ ও র্যাব। আজ তাদের অবমুক্ত করা হয়। পাখি পাচারের দায়ে চারজনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাব।
পাখির কলকাকলী এখন আর ঘুম ভাঙায় না। ইট-কাঠের নগর তো বটেই গ্রামের সবুজ অরণ্য থেকেও পাখিদের কেড়ে নিচ্ছে পাচারকারী আর শিকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সাভার থেকে পাচারের সময় সাতশ'র বেশি পাখি জব্দ করে বন বিভাগ। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে তাদের আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে। র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা কার্জন হলের সবুজ চত্বরে অবমুক্ত করেন ঘুঘু, টিয়া আর মুনিয়াদের।
পাখি প্রেমিকরা বলেন, 'প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পাখির যে কলকাকলি শোনা যেত, শহরের জীবনে এটা এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দিনে দিনে পাখি বিলুপ্তির দিকে চলে যাচ্ছে। পাখিগুলো ছাড়ার যে মহৎ উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে এর মাধ্যমে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য আবার ফিরে আনতে সহায়তা করবে। '
বগুড়া ও কুষ্টিয়া থেকে একটি চক্র রাজধানীসহ সারাদেশে পাখি পাচারের সাথে জড়িত বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, 'একটি সংঘবদ্ধচক্র বগুড়া ও কুষ্টিয়া থেকে এসে বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্যবসা করছে। চারজনকে আটক করে প্রত্যেককে এক বছর বিনাশ্রম কারদণ্ডাদেশ করা হয়েছে।'
এদিকে সব ধরনের দেশি পাখি কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ জানিয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বললেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় বাড়তি নজরদারির কথা।
বনবিভাগের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, 'বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যারা আছে তাদের মাধ্যমে আমরা এই নজরদারী করে থাকি। বিশেষকরে যেসব হাটবাজার তৈরি হয় সেখানে আমাদের একটা অভিযান দেখেন। '
এশিয়াসহ গোটা বিশ্বেই গেল অর্ধ শতকে আশঙ্কাজনক হারে কমছে পাখি। জলবায়ু পরিবর্তন ও আবাসন হারিয়ে বিলুপ্তির পথে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির পাচার ঠেকানোর তাগিদ সচেতন নাগরিকদের।
কমেন্ট