গুমের বিরুদ্ধে আইন করায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই : আইন উপদেষ্টা
বালিশকাণ্ডে ঠিকাদার আসিফের জামিন বহাল
'বালিশকাণ্ড' হিসেবে বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে করা একটি মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
আসিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন দেন আসিফ হোসেনকে। এরপর জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন করলে তাঁকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে দুদককে লিভ টু আপিল আবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে অস্বাভাবিক দামে বালিশসহ আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে গতবছর ১২ ডিসেম্বর পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে দুটি মামলায় আসামি করা হয় আসিফ হোসেনকে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক মূল্যে আসবাবপত্র কেনা ও তা ভবনে ওঠানোর খরচ দেখানোর অভিযোগে পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করেছে দুদক।
গত বছরের ১৬ মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭শ ৪৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ টাকা, একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৩০ টাকা। একটি বৈদ্যুতিক কেটলির দাম ৫ হাজার ৩১৩ টাকা যা তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯৪৫ টাকা।
কমেন্ট