গুমের বিরুদ্ধে আইন করায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই : আইন উপদেষ্টা
রায়হান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর সীমান্ত থেকে গ্রেফতার
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরকে কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেপুলিশ।
সিলেট জেলা পুলিশর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বরখাস্ত এসআই আকবরকে ভারতীয় সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সিলেট সদরে আনা হচ্ছে।
এদিকে গত ২১ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ফাঁড়ি থেকে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খুলেকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলেকুজ্জামান বলেন, রায়হান হত্যা মামলায় আগের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মামলার তদন্তের স্বার্থে আওলাদ হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রায়হান হত্যার পর যা ঘটেছে:
গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়। রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।
১৪ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।
রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়।
কমেন্ট