রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার
ব্যবসায়ী পরিচয়ে প্রতারণা, মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৭
অভিনব কায়দায় সংঘবদ্ধ গাড়ি প্রতারকচক্রের মূলহোতাসহ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ গত কয়েকদিনে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আব্দুল কাইয়ুম ছোটন ওরফে ইসতিয়াক (৩২), আলী মিজি ওরফে আ. হাই (৪৬), নাজমুল হাসান (১৯), সানি রহমান (২০), সাজরাতুল ইয়াকিন রানা (৩৩), আলমগীর শেখ (৪৮) ও মো. সেলিম (২৭)।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করা সাতটি প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাস ও পিকআপ উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিআইডি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গার্মেন্ট কম্পানির নামে গাড়ি ভাড়া করে প্রতারণার মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রির ঘটনা ঘটনার তথ্য আসছিল। একাধিক ঘটনার তথ্য নজরে আসার পর সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায়, চক্রের মূলহোতা আব্দুল কাইয়ুম ছোটন কক্সবাজার ও তার চক্রের অন্যান্য সদস্যরা গাজীপুরের গাছা থানা এলাকার একটি চারতলা বাড়ির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় অবস্থিত 'এ কে ফ্যাশনস' পোশাক কারখানার নামে মোট ২২টি গাড়ি ভাড়া করে। পরে গাড়ির মূল মালিকদের না জানিয়ে গাড়িগুলো বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেয়। গাড়ি বিক্রির নগদ তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারকচক্রটি আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে গাড়ির মালিকরা তাদের গাড়ি এবং প্রতারকচক্রের কোথাও কোনো সন্ধান না পেয়ে কাইয়ুম ও তার চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, শুরুতে চক্রটির দুজনকে চিহ্নিত করে মানিকগঞ্জ পৌরসভার শহীদ রফিক সড়ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রধান সহযোগী সানিকে দিনাজপুর ও রানাকে রংপুর সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আলমগীর শেখ নামে আরেকজনকে উত্তরা থেকে এবং সেলিমকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্য গত রবিবার বিকেলে চক্রের মূলহোতা আব্দুল কাইয়ুমকে খুলনার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমেন্ট