অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনায় প্রায় ২ হাজার সিম, আটক ১

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনায় প্রায় ২ হাজার সিম, আটক ১

সৌদি প্রবাসী মো. আলী। তবে, তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় তিন জন কর্মী রেখেছিলেন। যাঁরা প্রায় দুই হাজার টেলিটক সিমের মাধ্যমে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করতেন এবং এ ব্যবসার তদারকি করতেন আলী। ওই বাসায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক কর্মীকে আটক করেছে র‍্যাব। মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি বাসায় গতকাল সন্ধ্যায় র‌্যাব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) যৌথ অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জামসহ শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। অভিযান শেষে রাতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘তিন জন কর্মী রেখে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করতেন সৌদি প্রবাসী আলী। তিন জনের মধ্যে দুজন সার্ভার মেইনটেইন করতেন। একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজন এখনও পলাতক রয়েছেন।’ র‍্যাব জানিয়েছে, মো. আলী সৌদি আরবে বসবাস করলেও অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করতেন বাংলাদেশে। প্রায় দেড় বছর ধরে কর্মচারীদের মাধ্যমেই এই ব্যবসার কারণে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় সাত-আট কোটি টাকা। খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অভিযানে ওই বাসা থেকে এক হাজারের বেশি টেলিটক সিম ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফোন কল অবৈধভাবে ট্রানজেকশন করা হতো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের ই-ব্লকের জি-ফাইভ বাসায় অভিযান চালাই আমরা। আটক শফিকুল ওই বাসার কেয়ারটেকার। উদ্ধার ভিওআইপি সরঞ্জামের মূল মালিক আলী নামের একজন সৌদি প্রবাসী।’ ‘অভিযানে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই সরঞ্জাম ব্যবহার করে একসঙ্গে ১৬০টি কল ট্রানজেকশন করা হতো’, যোগ করেন এ র‍্যাব কর্মকর্তা।
কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা পূর্ববর্তী

কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরায় এক পরিবারের চার জনকে হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড পরবর্তী

সাতক্ষীরায় এক পরিবারের চার জনকে হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

কমেন্ট