কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার পাশে গুলি করে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) হত্যা মামলায় পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন।

কোনাবাড়ী থানা–পুলিশ জানায়, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী সড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় গত ৫ আগস্ট মো. হৃদয় (২০) সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন।

এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তাঁরা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তাঁর পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে আকরামকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা বলেন, কনস্টেবল আকরামকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন সন্ত্রাসী ছাত্রদের ওপর হামলা চালান।

এ সময় আমার মামাতো ভাই হৃদয় প্রাণভয়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন। এর কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা মো. হৃদয়কে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার ওপরে নিয়ে যান। পরে তাঁকে পুলিশ সদস্যরা ঘেরাও করে আগ্নেয়াস্ত্র পেটে ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ গুম করেন। যা আমি ও আমার আশপাশের লোকজন ভিডিও ধারণ করি।
ওই ঘটনায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ছয়জন পুলিশ ওই যুবককে ধরে নিয়ে পাশের গলিতে নিয়ে যান। পরে তাঁরা তাঁকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেন। এর মধ্যে থেকে এক পুলিশ সদস্য হৃদয়ের মুখে চড়থাপ্পড় মারেন। এরপর পুলিশের মধ্য থেকে এক সদস্য তাঁর পেটে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে তাৎক্ষণিক তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আশপাশে রক্তে ছেয়ে যায়। এ সময় ভিডিওতে দেখা যায়, আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসে। লাশ সেখানে কিছু সময় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ক্লান্তি ঝরিয়ে চাঙ্গা হয়ে বিশ্বকাপে যেতে চান মরগ্যান পরবর্তী

ক্লান্তি ঝরিয়ে চাঙ্গা হয়ে বিশ্বকাপে যেতে চান মরগ্যান

কমেন্ট