বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না যুবলীগ নেতার
সীতাকুণ্ডে মো. ফিরোজ খান (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে উপজেলার লালানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি উপজেলার উত্তর কলাবাড়িয়া এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ফুফাতো ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, ফিরোজ খান যুবলীগের রাজনীতি করতেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিজের বাড়িতে থাকতেন না। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তার এক বোনের বাড়িতে থাকতেন।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল তাকে ওই বাড়ি থেকে ডেকে ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে বোনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যুবলীগ করার কারণেই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে মোশারফের দাবি।
যুবলীগ নেতাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি মো. মজিবুর রহমান দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, ফিরোজের পরিবারের সদস্যরা এখনো সীতাকুণ্ড থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে ফিরোজের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় চারটি ডাকাতি ও একটি মারামারির মামলা আছে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কমেন্ট