চাঁদপুরে মেঘনা নদীর দস্যু বাবলা খালাসি নিহত

চাঁদপুরে মেঘনা নদীর দস্যু বাবলা খালাসি নিহত

চাঁদপুরে মতলব উত্তরের শীর্ষ সন্ত্রাসী, একাধিক মামলার আসামি জলদস্যু নেতা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী বাবলা খালাসি গুলিতে নিহত হয়েছেন। চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ মেঘনা নদীর সীমানা ঘেঁষা এলাকায় বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন কয়েক ডজন মামলার পলাতক আসামি ছিলেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত বাবলা খালাসি (৪৫) মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় বাচ্চু খালাসির ছেলে।


চার ভাইবোনের মধ্যে বাবলা খালাসি ছিলেন দ্বিতীয়। তবে একাধিক বিয়ে করায় তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বাবলা ও তার ছোটবোনের স্বামী আব্দুল, ছানা, আজাদ এবং আলমসহ বেশ কয়েকজন মেঘনার দুর্গমচরে অবস্থান করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নৌপথে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে মাস দুয়েক আগে তারা কোনঠাঁসা হয়ে পড়েন।


বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, প্রভাবশালী নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার আত্মীয় হওয়ায় ওই এলাকায় বাবলা খালাসি ও তার সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত কয়েকমাস বাবলা খালাসি ও তার সহযোগীরা দুর্গমচর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চরে আশ্রয় নেন। সেখানেই আজ মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়িতে অবস্থানকালে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বাবলা খালাসি।


তবে এই ঘটনায় অন্যরা গা ঢাকা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরে মতলব উত্তরের মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ ও দস্যুতার অভিযোগ রয়েছে নিহত বাবলা খালাসির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে অন্তত তিন ডজন মামলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মোহনপুরের জ্বালানি তেলের দোকান থেকে ড্রেজার এবং বাল্কহেডের জন্য ডিজেল জোর করে নিয়ে যেতেন বাবলা খালাসির লোকজন। চাঁদপুরের উত্তরের মেঘনা নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকায় বাবলা বাহিনীর ছিল রামরাজত্ব।

নোয়াখালীর এমপি একরামুল ২ দিনের রিমান্ডে পরবর্তী

নোয়াখালীর এমপি একরামুল ২ দিনের রিমান্ডে

কমেন্ট