পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, ৪০ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যা নদীতে মা ইলিশ শিকারের সময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে নিখোঁজ জেলে শহীদ শিকদারের (৭২) ভাসমান মরদেহ ৪০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়ার চাখার ইউনিয়নের জাংগালিয়া গ্রাম সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে শহীদ সিকদারের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শহীদ সিকদারের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই গ্রামের মো. ফয়জর আলী সিকদারের ছেলে।
জাংগালিয়া এলাকার ইউপি সদস্য শাকিল সুমন জানায়, জেলে শহীদ সিকদারের পরিবার কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় জড়াতে চান না, তাই মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে স্পিড বোট ও দুটি ট্রলার নিয়ে বানারীপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্রর নেতৃত্বে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চলাকালীন নদীতে জাল ফেলে নৌকায় অবস্থান করছিলেন শহীদ সিকদার ও নুরুদ্দীন নামের দুই জেলে। অভিযানের টের পেয়ে তারা পালিয়ে যেতে নদীতে ঝাঁপ দেন।
এ সময় শহীদ সিকদার নদীতে ডুবে যান এবং সাঁতরে তীরে উঠতে গিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নুরুদ্দীন ধরা পড়েন।
এসি ল্যান্ড শহীদকে নদীতে খুঁজে না পেয়ে নুরুদ্দীনকে নিয়ে অভিযান স্থগিত করে ফিরে যান। পরে তিনি বাকপ্রতিবন্ধী নুরুদ্দীনকে তার মায়ের জিম্মায় ওই দিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে ছেড়ে দেন।
অন্যদিকে শহীদ সিকদারকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন মাইকিং করাসহ নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করতে থাকেন।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. অন্তরা হালদার জানান, তিনি জেলে শহীদ সিকদারের বাড়িতে যাওয়ার পরে তার পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের দাবি জানান।
পরে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্পিড বোট ও দুটি ট্রলার নিয়ে তার নেতৃত্বে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চলাকালীন মসজিদবাড়ী এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকার করছিলেন শহীদ সিকদার ও নুরুদ্দীন নামের দুই জেলে। অভিযানের টের পেয়ে তারা পালানোর উদ্দেশ্যে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় শহীদ সিকদার নিখোঁজ হন এবং বাকপ্রতিবন্ধী নুরুদ্দীন ধরা পড়েন। তাৎক্ষণিক নদীতে খুঁজেও শহীদ সিকদারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কমেন্ট