বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলে এবং ভারতে আটক বাংলাদেশি জেলের বিনিময় ৫ জানুয়ারি
পিরোজপুরে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৮
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একটি সালিশ বৈঠকে প্যানেল চেয়ারম্যানের ওপর বহিষ্কৃত যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের টগড়া মোড়ে ঘটনার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের টগড়া মোড়ে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ব্যক্তিগত অফিসে তার মধ্যস্থতায় একটি সালিশ বৈঠক চলছিল। এ সময় পিরোজপুর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ শিকদারের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন লোক এসে কোনো কথা না বলেই প্যানেল চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদারের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং তার ওপর হামলা চালায়।
হামলায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার এবং ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান আহত হন। প্যানেল চেয়ারম্যানের ওপর হামলার খবর পেয়ে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে হামলাকারীদের অফিসে আটকে রেখে পিটুনি দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেন। পরে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ফেরাতে না পারায় সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে হামলাকারীদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে থানায় পাঠায়।
আটককৃতরা হলেন- সাবেক জেলা যুবদল নেতা রিয়াজ শিকদার (৪০), আরিফুল ইসলাম বাবু (৪০), শাকিল আহম্মেদ (৩৮), আরিফুর রহমান মিঠু (৩৭), সাব্বির হোসেন (২৮), নাজমুল (৩০), এজাজুল (৩৫), সোহাগ (৩৫) ।
হামলার শিকার প্যানেল ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আ. রাজ্জাক হাওলাদার জানান, আমার অফিসে শালিশ-বৈঠকের জন্য দুই পক্ষ নিয়ে বসা ছিলাম। এ সময় পিরোজপুর থেকে রিয়াজ সিকদারের নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন লোক এসে কোনো কথা না বলেই আমার ওপর হামলা চালায়। এমন খবর শুনে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে রাখে।
পরে সেনাবাহিনী এসে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করে।
ইন্দুরকানী থানার থাকা ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, প্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদারের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে রিয়াজ সিকদারসহ ৮ জ্ঞাত এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
কমেন্ট