বন উজাড় করে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

বন উজাড় করে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অধিকাংশ ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ। জ্বালানি কাজে কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও তা উপেক্ষা করে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। ভাটাগুলোতে লোক দেখানোর জন্য সামান্য কয়লা রাখা হলেও প্রকৃতপক্ষে বনের কাঠই ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


ভাটার ধোঁয়া এবং গাড়ির ধুলাবালির কারণে এলাকাবাসী, বিশেষত কোমলমতি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও পথচারীরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছে।

ভাটা এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, অধিকাংশ ইটভাটার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে এগুলো গড়ে উঠেছে বনাঞ্চল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বসতবাড়ির পাশেই। এছাড়া, কৃষি জমির মাটি প্রতিদিন মহেন্দ্র গাড়িতে বহন করে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


এসব গাড়ির কারণে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে এবং প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে।
অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভার দিয়ে এসব গাড়ি চালানো হচ্ছে। তাদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। গত কয়েক বছরে এসব অবৈধ মহেন্দ্র গাড়ির কারণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।


পীরগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৪২টি ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে, যার মধ্যে ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র ২০০ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। এসব ইটভাটার নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসনের অনুমতি বা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স।

ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ ব্যবহারের ফলে কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-শিক্ষক এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইটভাটার আশপাশে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস, যারা সরাসরি এই দূষণের শিকার।

নাগরদোলায় ওঠা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১ পরবর্তী

নাগরদোলায় ওঠা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১

কমেন্ট