নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ড তৈরি হয়েছে : গভর্নর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হাজতে ইমাম, এলাকায় তোলপাড়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল করিম (৪২) নামে এক মসজিদের ইমামকে হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ধর্ষণের খবরে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বলেন, 'ধর্ষণের খবর এলাকায় জানাজানি হওয়ার স্থানীয় কয়েকশ লোক ওই ঈমামকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শনিবার কোর্টে চালান দেয়।
পরে আদালত তাকে হাজতে পাঠান।'
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর উত্তর পাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ঈমাম আব্দুল করিম গত ১ এপ্রিল প্রথম শান্তিপুর গ্রামের ১৫ বছর বয়স্ক ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তার কক্ষে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্ত ঈমামের বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম ফজলু মিয়া।
তবে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও কিশোরীকে হুমকি দেন। এ ঘটনার দু'দিন পর আবারো ঈমামের কক্ষ ঝাড়ু দিতে গেলে দ্বিতীয় দফায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। সেসময় কিশোরী দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে সবকিছু জানায়। এক পর্যায়ে এ ঘটনা গ্রামে জানাজানি হলে শুক্রবার ওই ঈমামকে মারতে কয়েকশ গ্রামবাসী একত্রিত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই ঈমামকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে শনিবার কিশোরীর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় ঈমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই শনিবার ঈমামকে আদালতে চালান দেয় পুলিশ। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় গত দু'দিন ধরে নানা আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজ দুপুরে বলেন, 'পুলিশ যথাসময়ে ইমামকে গ্রেপ্তার না করলে উত্তেজিত জনতা তাকে মেরে ফেলতো।
'
ওসি আরো জানান, 'ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মসজিদের ইমাম এখন হাজতে।'
কমেন্ট