সূচকের সঙ্গে কমল লেনদেন

সূচকের সঙ্গে কমল লেনদেন

টানা দুই কার্যদিবস বড় উত্থানের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। এর আগে মূল্য সূচকের টানা উত্থানে রোববার ডিএসইর সবকটি সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠে আসে। সেই সঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয় বাজার মূলধনেও। রেকর্ড অবস্থানে পৌঁছে মূল্য সূচকের পাশাপাশি সোমবার বাজার মূলধনও কমেছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় কমেছে ১৬ পয়েন্ট এবং লেনদেন কমেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন এ সূচকটি বেড়েছিল ৫২ পয়েন্ট এবং তার আগের কার্যদিবসে বেড়েছিল ৪৫ পয়েন্ট। অপর বাজার সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট এবং লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স’র বড় উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের প্রথম ২ মিনিটেই ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যহত থাকায় বেলা ১১টা ৫৫ মিটিটে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এর পরেই নিম্নমুখী হতে থাকে মূল্যসূচক। টানা নিম্নমুখীতায় দুপুর ১টায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকে। ফলে সূচকের ঋণাত্মক প্রবণতায় দিনের লেনদেন শেষ হয়। প্রধান মূল্যসূচক কমলেও সোমবার ডিএসইর অপর দুটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে। এদিকে রেকর্ড অবস্থানে পৌছে আবারও কিছুটা কমেছে ডিএসইর বাজার মূলধন। রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। যা সোমবার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দাম। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ৩৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ৮৮ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা। লেনদেনে এরপর রয়েছে- সিএমসি কামাল, প্রিমিয়ার ব্যাংক, যমুনা অয়েল, সিটি ব্যাংক, ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো ফার্মা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৯৮টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির দাম।
ক্ষতির মুখে কোরবানির চামড়া ব্যবসা পূর্ববর্তী

ক্ষতির মুখে কোরবানির চামড়া ব্যবসা

বিজিএমইএ ভবন : সময়ের আবদনের শুনানি ৫ অক্টোবর পরবর্তী

বিজিএমইএ ভবন : সময়ের আবদনের শুনানি ৫ অক্টোবর

কমেন্ট