টানা তিন সপ্তাহ বাড়ল সূচক

টানা তিন সপ্তাহ বাড়ল সূচক

ঈদুল আজহার আগে শেয়ারবাজারে যে চাঙা প্রবণতা ছিল ঈদের পরেও তা অব্যহত রয়েছে। ছুটি শেষে লেনদেন হওয়া ৯ কার্যদিবসের মধ্যে ছয় দিনই বেড়েছে মূল্য সূচক। আর শেষ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে মূল্য সূচক বেড়েছে তিনদিন। ফলে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স’র বড় উত্থান হয়েছে। এ সূচকটি বেড়েছে দেড় শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ মূল্য সূচকের বড় উত্থান ঘটল। শেষ সপ্তাহে মূল্য সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে মোট ও দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের (১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৩২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৭৫ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বাড়ে ১৪৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি গত সপ্তাহে মোট লেনদেনও বেড়েছে। শেষ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ৪ হাজার ২৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ৪৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অবশ্য শেষ সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় এক কার্যদিবস বেশি লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরি, ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরি এবং ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের। শেষ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৮ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ১ দশমকি ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১০৮ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ১ দশমকি ৮১ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১২১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ২ দশমকি শূন্য ৬ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ২ দশমকি ৭৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছিল ৩৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছিল ২৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমকি ৯৫ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক বাড়ে ২৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমকি ৩০ শতাংশ এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বাড়ে ১৬ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এদিকে গত সপ্তাহে মূল্য সূচক ও লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৭ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ছে ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। শেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৭৮টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৮৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক শূন্য ৬৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। ১৩১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- সিটি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ পূর্ববর্তী

টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ

বিকাশের ২ হাজার ৮৮৭ এজেন্ট বন্ধের নির্দেশ পরবর্তী

বিকাশের ২ হাজার ৮৮৭ এজেন্ট বন্ধের নির্দেশ

কমেন্ট