দেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবে এনবিআর

দেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবে এনবিআর

দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১২ হাজার বিদেশী নাগরিকের তথ্য রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি বলে মনে করছে সংস্থাটি। তাই হিসাবের বাইরে থাকা এসব বিদেশী নাগরিক শনাক্তের উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। এরই অংশ হিসেবে কোম্পানি পর্যায়ে বিশেষ পরিদর্শনে যাচ্ছে রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটি। ১৫ অক্টোবর এ পরিদর্শন শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে ওইদিন শেভরন, ইউনিলিভারসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন তারা। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও যাবেন কর্মকর্তারা। তার আগেই অর্থাত্ ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিদেশী কর্মীদের তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। পাশাপাশি এনবিআরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও চিঠির মাধ্যমে পরিদর্শনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে অবৈধভাবে বিদেশী কর্মী নিয়োগে শাস্তির বিধান রেখে আয়কর অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিলে নিয়োগদাতার সর্বনিম্ন তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের কর রেয়াত সুবিধা বাতিলের বিধানও রয়েছে আইনে। বিদ্যমান আয়কর আইন অনুযায়ী, দেশে কোনো বিদেশী কর্মী তিন মাস অবস্থান করলে তার কর ফাইল খুলতে হয়। এনবিআরের অনুসন্ধানে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা, বায়িং হাউজ, এনজিও, বহুজাতিক কোম্পানি, তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি, অবকাঠামো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতে ৫০ হাজারের বেশি বিদেশী নাগরিক তিন মাসের অধিক সময় কর্মরত রয়েছেন। যদিও সর্বশেষ হিসাব বছরে বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন ১০ হাজার জন। বিদেশী কর্মী নিয়োগে তাই আইনের ব্যত্যয় ঘটছে বলে মনে করছে এনবিআর। বিদেশী নাগরিকদের করের আওতায় আনতে এর আগেও বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয় এনবিআর। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিদেশীদের বাংলাদেশে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় কাগজপত্র পরীক্ষায় বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে আয়কর সেল। কর্মীদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি ও ক্যাটাগরি পরিবর্তনে এনবিআরের অনুমোদন গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্যভাণ্ডার তৈরির লক্ষ্যে বিনিয়োগ বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেপজা, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, এনজিও ব্যুরো, এফবিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। তবে কোনোটিতেই চূড়ান্ত সফলতা আসেনি।
গাড়ি কিনতে সুদ ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা ঋণ! পূর্ববর্তী

গাড়ি কিনতে সুদ ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা ঋণ!

১০ লাখ শেয়ার বেচবেন ইউনিয়ন ক্যাপিটাল উদ্যোক্তা পরবর্তী

১০ লাখ শেয়ার বেচবেন ইউনিয়ন ক্যাপিটাল উদ্যোক্তা

কমেন্ট