নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ড তৈরি হয়েছে : গভর্নর
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ড তৈরি হয়েছে : গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আহসান এস মনসুর বলেছেন, স্টার্টআপদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ভাবছে। তরুণদের আইডিয়াগুলো যাচাই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্টার্টআপদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার কো-ফাইন্যান্সিং ফান্ড তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি আরো বাড়বে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সেশনের সঞ্চালনা করেন শেয়ার ট্রপের সিইও সাদিয়া হক। এ সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ মোহাম্মদ, প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফাইয়্যেজ আহমেদ তৈয়্যব।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের বাইরেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৮০০-৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে স্টার্টআপদের জন্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে বিশ্বাসী, আমরা সেভাবেই যাচ্ছি। স্টার্টআপদের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, স্টার্টআপরা শুধু ঢাকাকেন্দ্রীকই বিনিয়োগ পাচ্ছে তা নয়, সারাদেশের যেকোনো স্থান থেকে তারা বিনিয়োগ নিতে পারছে। উদ্যোক্তারা হতাশ হলে নীতি নির্ধারকরা তাদের কথা শুনছেন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বলেন, কোনো বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে স্বশরীরে বাংলাদেশে এসে দেখে যান তারা আসল চিত্র দেখতে পাবেন। আমরা আপনাদের কথা বেশি শুনছি, আমরা কম কথা বলছি। আপনারা যা বলবেন আমরা তাই ফলো করব।
ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফাইয়্যেজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, আমরা ইন্টারনেটের দাম গেটওয়ে লেভেল থেকে কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করছে, সেটি সবার আগে আইসিটিতে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতে কোনো সরকারের ইন্টারনেট বন্ধ করার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করবে না এটা নিশ্চিত। ভবিষ্যতের কোনো সরকারও তা বন্ধ করতে পারবে না। এসওপি আর এনজিএসও এমনভাবে সাজানো হয়েছে তাতে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো পলিসি রাখা হয়নি।
স্টার্টআপদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ৯৫ শতাংশ স্টার্টআপ সফল হতে পারে না। সেজন্য আপনাদের স্বচ্ছ হতে হবে। ইমিডিয়েট রিটার্ন চাইবেন না। আপনাকে বিক্রি বাড়িয়ে যেতেই হবে, টাকা একদিন আসবেই। অপেক্ষা করতেই হবে। ভেঞ্চার ক্যাপিটালগুলোও আপনাদে জন্য বিনিয়োগ করবে।
কমেন্ট