সমালোচনাকারীরা জ্ঞানপাপী : ভিসি ফরিদ উদ্দিন

সমালোচনাকারীরা জ্ঞানপাপী : ভিসি ফরিদ উদ্দিন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সম্বলিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বেনামে প্রকাশিত ঐ শ্বেতপত্রে ভিসির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারসহ মোট ৫৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার পুস্তিকা আকারে শ্বেতপত্রটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের হাতে কুরিয়ার মারফত পৌঁছানো হয়। অভিযোগকারীরা নিজেদের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ’ উল্লেখ করলেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়; শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শাবির গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব, আত্মীয়-স্বজন ও ভিসির এলাকা কুমিল্লার প্রার্থীদের প্রাধান্য দেয়া, ২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অক্ষমতা, শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে বাধা, বীমা চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক মাস আগ থেকেই শিক্ষকদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়া, নারীপ্রীতি, জামাত তোষণ নীতি, জিইবি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতীকের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট ভায়োলেশন, ছাত্রলীগের একটি অংশকে বিতাড়নের জন্যও ভিসিকে অভিযুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রোববার (২২ সেপ্টম্বর) বেলা ২ টায় প্রশাসনিক ভবনে সাংবাদিকদের সাথে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ভিসি বলেন, ‘যারা বেনামে শ্বেতপত্র দেয় তাদের নৈতিক ভিত্তি কতটুকু তা এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে। আমি যদি কোন অনিয়মই করতাম, তাহলে তারা নিজ পরিচয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারতেন। সব সমালোচনাকারীরা জ্ঞানপাপী, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।’ শাবি গ্র্যাজুয়েটদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যের বিষয়টি অস্বীকার করে ভিসি বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ডে আমি একা থাকি না। একক ব্যক্তির ইচ্ছায় কোন নিয়োগ হওয়া সম্ভবও নয়। আর আমি কোন আত্মীয় স্বজনকে চাকরি দেইনি। আপগ্রেডেশনের বিষয়টিও নিয়ম মাফিক হয়। বীমা চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কোন টাকা নেয়া হয়নি।’ শিক্ষকদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগে ভিসি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বীমা চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কোন টাকা নেয়া হয়নি। আর টেন্ডারের মাধ্যমেই প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে কাজ দেয়া হয়েছে।’ সার্বিক বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে ফায়দা হাসিল করতে চায়। তারা চায় আমি এ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাই, যাতে ইচ্ছামতো লুটপাট ও দুর্নীতি করতে পারে তারা। আমাকে চাপে ফেলতে তারা এই মিথ্যা অভিযোগগুলো এনেছে, এমনকি আমার পরিবারকেও হয়রানি করছে। আমার ছেলেকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের কাছে একশত ভাগ সৎ।’
ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত পূর্ববর্তী

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পঞ্চম দিনে পরবর্তী

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পঞ্চম দিনে

কমেন্ট