অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে-জুলাই গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ৫
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনকে লাঞ্ছিত এবং পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আরো পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ বেলপুকুর থানার বিসমিল্লাহ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সদ্যবহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক মামলার এক নম্বর আসামি কামাল হোসেন সৌরভ, দুই নম্বর আসামি মুরাদ, তিন নম্বর আসামি শান্ত, ছয় নম্বর আসামি সালমান ওরফে টনি এবং সাত নম্বর আসামি রায়হানুল হাসান হাসিব। এরা সকলেই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা-কর্মী।
আরএমপি মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং বেলপুকুর থানা অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিকভাবে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার পুলিশের বড় সাফল্য।
গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ নিয়ে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এছাড়া জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে গত ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়।
এর জেরে ওইদিন দুপুরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর টেনে হিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের এক পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এ নিয়ে রাতে মামলা করেন অধ্যক্ষ। এঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫৭ জনকে আসামি করে ওই রাতে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ।
কমেন্ট