গুমের বিরুদ্ধে আইন করায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই : আইন উপদেষ্টা
যে ‘সেরার পুরস্কার’ এখনো অধরা বিয়ন্সের!
গ্র্যামি মানেই বিয়ন্সে। বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ এই সংগীত পুরস্কারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই পপ সম্রাজ্ঞীর নাম। আগামী বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত হবে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৭তম আসর। ইতিমধ্যে এই আসরের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার সর্বোচ্চ ১১টি মনোনয়ন পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন বিয়ন্সে। সবমিলিয়ে তার ক্যারিয়ারে গ্র্যামি মনোনয়নের সংখ্যা হলো ৯৯টি। তবে এতো এতো রেকর্ডের ভিড়ে একটি অপূর্ণতা রয়ে গেছে এই গায়িকার। যা তার জন্য দুঃখজনকই বটে! আর তা হলো, এখন পর্যন্ত গ্র্যামিতে সেরা অ্যালবাম ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাননি বিয়ন্সে।
শিশুশিল্পী হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু হলেও টিনএজ বয়স থেকে আমেরিকান তরুণদের মনসম্রাজ্ঞীর খাতায় নাম লেখান বিয়ন্সে। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৮টি স্টুডিও অ্যালবামসহ তার মোট অ্যালবামের সংখ্যা পঁচিশ। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ডের দৌড়ে মনোনয়ন পেয়েছেন মোট ৫২৬টি। পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৩টি।
এখন পর্যন্ত অস্কার জেতা হয়নি তার। যদিও সেখানে মনোনয়ন পেয়েছিলেন একবারই। চলতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০২৫-এর মনোনয়ন ঘোষণা করেছে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। এবার সর্বোচ্চ ১১টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন পুরস্কারকন্যা বিয়ন্সে। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত মোট ৯৯টি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
এ সংখ্যা অন্য যে কোনো শিল্পীর চেয়ে বেশি। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এত বেশি গ্র্যামি মনোনয়ন পেলেও এখন পর্যন্ত সেরা অ্যালবাম ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পাননি বিয়ন্সে। এ পুরস্কার কি তার অধরাই থেকে যাবে- এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ৬৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পর।
চলতি বছর যেসব ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন বিয়ন্সে সেগুলো হলো- অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার (কাউবয় কার্টার), রেকর্ড অব দ্য ইয়ার (টেক্সাস হোল্ড এম), সং অব দ্য ইয়ার (টেক্সাস হোল্ড এম), বেস্ট পপ সোলো পারফর্মেন্স (বডি গার্ড), বেস্ট পপ ডুয়ো (লেভিল্স জিন্স), বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম (কাউবয় কার্টার), বেস্ট কান্ট্রি সলো পারফর্মেন্স (সিক্সটিন ক্যারেইজেস) প্রভৃতি।
গ্র্যামিতে বিয়ন্সের অধরা থাকা ‘বেস্ট অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে এবার তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে রয়েছেন-আন্দ্রে থ্রি থাউজেন্ড (নিউ ব্লু সান), বিলি আইলিশ (হিট মি হার্ড অ্যান্ড সফ্ট), সাব্রিনা কার্পেন্টার (শর্ট অ্যান সুইট), টেলর সুইফট (দ্য টর্র্চাড পোয়েট্স ডিপার্টমেন্ট)। তার সঙ্গে এবার গ্র্যামিতে সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ‘রেকর্ড অব দ্য ইয়ার’ এবং ‘সং অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে। প্রথমটির দৌড়ে বেয়ন্সের সঙ্গে রয়েছে- দ্য বিট্লস (নাও অ্যান্ড দেন), বিলি আইলিশ (বার্ডস অব আ ফেদার), চ্যাপেল রোয়ান (গুডলাক বেইবি), কেন্ড্রিক লেমার (নট লাইক আস), সাব্রিনা কার্পেন্টার (এসপ্রেসো), টেলর সুইফট (ফর্টনাইট)। আর সং অব দ্য ইয়ার ক্যাটাগরিতে বেয়ন্সের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- শ্যাবুজি (এ বার সঙ), বিলি আইলিশ (বার্ডস অব আ ফেদার), লেডি গাগা অ্যান্ড ব্রুনো মার্স (ডাই উইথ আ স্মাইল), টেলর সুইফট (ফর্টনাইট) প্রমুখ।
এদিকে, আগামী বছর থেকে বিয়ন্সেকে অন্যরকম সম্মান জানাচ্ছে আমেরিকার ইয়েল ইউনিভার্সিটি। শিল্পীর জীবনীভিত্তিক একটি অধ্যায় বিষয় হিসাবে পড়ানো হবে। এ শিল্পীর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা এবং তার জীবন ও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দিতেই এ কোর্সটি চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন সম্মান পেয়েছেন শিল্পী ও গীতিকার বব ডিলান এবং পপ সেনসেশন টেলর সুইফট।
কমেন্ট