ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা
‘বিকৃত মস্তিষ্কের নির্মাতারা ‘অ্যানিমেল’-এর মতো ছবি তৈরি করেন’
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ছবির নির্মাতাদের বিকৃত মস্তিষ্কের বলে কটাক্ষ করে ভারতীয় চিত্রনাট্যকার, গীতিকার ও কবি জাভেদ আখতার বলেছেন, বিকৃত মস্তিষ্কের নির্মাতারা ‘অ্যানিমেল’-এর মতো ছবি তৈরি করেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সমাজ যখন এগোচ্ছে, মানুষের ভাবনা-চিন্তার অগ্রগতি হচ্ছে, তখন ‘অ্যানিমেল’-এর মতো ছবিও নির্মাণ হচ্ছে। সেই ছবি আবার দেখতে মানুষ হলে গিয়ে ভিড়ও করছেন।
বক্স অফিসে তোলপাড় করে ফেলেছিল অভিনেতা রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’। কিন্তু সেই ছবির গায়ে লেগেছে ‘নারীবিদ্বেষী’ তকমা। কখনো রক্তের বন্যা, কখনো প্রেয়সীকে যন্ত্রণা দিয়ে প্রেমের উদযাপন তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। তাই নেটিজেনদের একটি অংশের রোষের মুখে পড়েছিলেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা। সেই সময় গীতিকার জাভেদ আখতারও এ ছবির সমালোচনা করেছিলেন। আবার তার মুখে এ ছবির নিন্দা।
জাভেদ আখতার বলেন, ১৫ জন মিলে এমন ছবি বানাচ্ছেন, যেখানে কোনো মূল্যবোধ নেই। ১০-১২ জন মিলে গানের জন্য অশ্লীল দৃশ্য তৈরি করছেন। ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫ জন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষও থাকতে পারে। এগুলো একটাও সমস্যা নয়। এতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু বাজারে এমন ছবি যখন সফল হয়, তখন সেটি চিন্তার বিষয় বলে জানান এ গীতিকার।
জাভেদ আখতার জানিয়েছেন, ১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশকেও অশ্লীল গান তৈরি হয়েছে। কিন্তু মানুষ সেই সময় সেগুলো গ্রহণ করেনি। এর আগে ‘অ্যানিমেল’-এর নাম না করে জাভেদ বলেছিলেন— কী ধরনের চরিত্র তৈরি করলে সমাজ তার প্রশংসা করবে, সেটি বোঝা নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে এখন সব থেকে বড় বিষয়।
তিনি বলেন, উদাহরণ হিসেবে বলছি— কোনো ছবিতে এক পুরুষ যদি একজন নারীকে তার জুতা চাটতে বলে কিংবা পুরুষটি নারীকে চড় মারে, তার পর সেই ছবি যদি সুপারহিট হয়, তা হলে সেটি বিপজ্জনক বিষয়।
কমেন্ট