বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র
বাড়িতে তল্লাশির পর শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে তলব করল ইডি
চলতি সপ্তাহে পর্নোগ্রাফিকাণ্ডের তদন্তে মুম্বাই ও উত্তরপ্রদেশের অন্তত ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। হানা দিয়েছে শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রার বাড়িতেও। রাজ জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে এই তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। কোনোভাবেই সত্যকে ঢাকা দেওয়া যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি। বাড়িতে ইডি তল্লাশির সঙ্গে শিল্পার প্রসঙ্গ টানায় সংবাদমাধ্যমের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশও করেন এ শিল্পপতি।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী তথা মুম্বাইয়ের শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে তলব করল ইডি। পর্নোগ্রাফি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্ত করছে তারা। গত শুক্রবার মুম্বাইতে রাজের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। দীর্ঘক্ষণ সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। রাজের দপ্তরেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। দুদিনের মাথায় তাকে ডেকে পাঠানো হলো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
সূত্রের খবর, ইডির মুম্বাইয়ের দপ্তরে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার মধ্যে তাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এ মামলার সঙ্গে জড়িত অন্য অভিযুক্তদেরও তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুন মাসে পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে রাজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দুই মাস জেলে ছিলেন তিনি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জামিন পান রাজ। পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজকেই মূল চক্রান্তকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছিল মুম্বাই পুলিশ। পর্নোগ্রাফিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ‘হটশট’ নামে বিশেষ একটি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছিল মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। ওই অ্যাপ যে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করত, তার মালিক ছিলেন রাজ। একাধিক সার্ভার থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও, স্বল্প ও লম্বা দৈর্ঘ্যের ছবি মিলেছিল। অভিযোগ রয়েছে— মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এ ধরনের ছবি তৈরি করতেন রাজ। তার পর তা বিক্রি করতেন। বিদেশ পর্যন্ত এই চক্র বিস্তৃত বলেও অভিযোগ উঠেছিল। রাজ অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। এ মামলায় তাকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
পর্নোগ্রাফির পাশাপাশি বিটকয়েন দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে রাজের। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইডি রাজ ও শিল্পার ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। অভিযোগ, বিটকয়েন দুর্নীতির মাধ্যমে ওই সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছেন তারা।
কমেন্ট