দেশের পুরনো ৪ বিভাগকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার সুপারিশ
প্রযোজকের প্রস্তাবে রাজি হলেই কাজ, যা করেছিলেন কীর্তি
শোবিজ অঙ্গনে ‘কাস্টিং কাউচ’ প্রচলিত এক বিষয়। চাকচিক্য আর গ্ল্যামারের জগতে অন্ধকার এক অধ্যায় ‘কাস্টিং কাউচ’। কমবেশি অনেক অভিনয়শিল্পীই এই অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যান। বিশেষ করে এর শিকার হন অভিনেত্রীরা।
কয়েক বছর আগে বিষয়টি নিয়ে বলিউডে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এখনও এই অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় অনেক অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন পিঙ্ক’খ্যাত অভিনেত্রী কীর্তি কুলহারি।
সম্প্রতি, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী কীর্তি কুলহারি।
অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘কাস্টিং কাউচে ভয় নেই। ওটা তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে জলভাত!’
কীর্তি জানান, তিনি নিজেও এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। তখন পেশাজীবনের একেবারে শুরুর দিক। একটি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন কীর্তি।
সিনেমাটি নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলছেন। নানা কথার ফাঁকে আচমকাই প্রযোজক তাকে কুপ্রস্তাব দেন। ইঙ্গিতে বোঝান, সিনেমার বিনিময়ে প্রযোজকের প্রস্তাবে রাজি হতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, “একেই কি ‘কাস্টিং কাউচ’ বলে? আমি কি ‘কাস্টিং কাউচ’-এর শিকার?” মজার বিষয়, প্রযোজক বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন সে সময়। এ ঘটনায় হেসে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী।
কোনোমতে হাসি চেপে জানিয়েছিলেন, তিনি একটুও অবাক হননি। ভয়ও পাননি। কারণ, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার আগেই এই শব্দের সঙ্গে ভীষণ ভাবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
২০১০ সালে ‘খিচড়ি : দ্য মুভ ‘ দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন কীর্তি কুলহারি। ২০১১ সালে ‘শয়তান’ দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর ‘পিঙ্ক’, ‘ইন্দু সরকার’, ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা ‘মিশন মঙ্গল’-র মতো সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে নিজের অভিনয় সত্ত্বার ছাপ রেখেছেন। তবে তিনি বেশি প্রচারের আলোয় এসেছেন ‘ফোর মোর শটস প্লিজ’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে। সিনেমার তালিকা খুব বেশি তাঁর ঝুলিতে না থাকলেও বলিউডের অনেক পরিচিত মুখ তিনি।
কমেন্ট