চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৬ দাবিতে শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান
এবার নতুন প্রতিজ্ঞা অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির
নব্বই দশকের বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি দীর্ঘদিন বিনোদন জগত থেকে দূরে ছিলেন। হঠাৎ তিনি হারিয়ে যান পর্দা থেকে। এমনকি দেশের বাইরেই ছিলেন অভিনেত্রী। প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে সম্প্রতি তিনি মহাকুম্ভে গিয়ে সন্ন্যাসী গ্রহণ করেন।
কিন্তু মহাকুম্ভে কিন্নর আখড়া বলিউডের একসময়ের সেনসেশনাল হিরোইন মমতা কুলাকর্নিকে মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি প্রদান করেছিল। যদিও এর মেয়াদ ছিল মাত্র সাত দিন। এরপর প্রশ্ন ওঠে— অভিনেত্রী আদৌ মহামণ্ডলেশ্বর পদ পাওয়ার যোগ্য কিনা। একসময় রুপালি জগতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে নাম জড়ানোয় মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে আপত্তি জানান অনেকেই। তার পরে ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় বহিষ্কৃত হন তিনি। দেখা যায়, বেশ কিছু হিন্দু সাধু এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি মহাকুম্ভে গিয়ে কিন্নর আখড়ায় পেয়েছিলেন মহামণ্ডলেশ্বরের সম্মান। কিন্তু সেই সম্মান স্থায়ী না হওয়ায় এবার অভিনেত্রী নিজেই ইস্তফা দিলেন। গতকাল সোমবার নিজেই এ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মমতা কুলকার্নি। মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, নিজের সন্ন্যাসীসত্তার বিসর্জন দেবেন না বলেও জানি দেন অভিনেত্রী।
সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তায় মমতা কুলকার্নি বলেন, আমি কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। শৈশব থেকেই আমি সাধিকা ছিলাম। আগামী দিনেও তাই-ই থাকব। অভিনেত্রী বলেন, এই পদ হারালেও সন্ন্যাসীর পরিচয় নিয়েই তিনি থাকতে চান। গত ২৫ বছর ধরেও নানা সাধনার মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছেন বলেও জানান মমতা।
নিজের তপস্যার কথা আগেই বলেছিলেন মমতা। অভিনেত্রী তথা সাধিকার কথায়, আমি ২৫ বছর ধরে তপস্যা করেছি। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশকে অনুরোধ করব, ওর গুরুর থেকে আমার ব্যাপারে জানার জন্য। অভিনেত্রী বলেন, গত ২৩ বছরে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি কোনো সিনেমাও দেখেননি। শুধুই সন্ন্যাসী গ্রহণ করার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্নর আখড়ার আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর কথায় তিনি মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিতে রাজি হন।
কমেন্ট