রমজানে অলআউট অ্যাকশন, অপরাধীদের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন: ডিবিপ্রধান
৫ বছরের ‘শত্রুতা’য় ইতি, মামলা মিটিয়ে একফ্রেমে হাসিমুখে জাভেদ-কঙ্গনা
পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে চলছিল কাদা ছোড়াছুড়ি। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানি মামলায় কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুম্বাইয়ের আদালত।
তবে মাস শেষ হওয়ার আগেই বদলে গেল ‘প্লট’। মধ্যস্থতা করে সেই মামলার নিষ্পত্তি করে নিলেন বলিউডের দুই তারকা।
শুধু তাই নয়, কোর্ট চত্বরে হাসিমুখে একফ্রেমে ধরাও দিয়েছেন জাভেদ-কঙ্গনা। একে-অপরের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ।
সুখবরটা কঙ্গনা রানাউতই দিলেন গতকাল শুক্রবার। সাংসদ ও অভিনেত্রী জানান, “আজ আমি এবং জাভেদজি আমাদের আইনি লড়াই মিটিয়ে নিলাম।
মধ্যস্থতার বিষয়ে জাভেদজি ভীষণই দয়ালু এবং প্রাণবন্ত। শুধু তাই নয়, আমার পরবর্তী সিনেমার জন্য গান লিখবেন বলেও কথা দিয়েছেন।”
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পৌঁছান দুই তারকা। এরপর সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে ২০২০ সালে দায়ের করা মানহানি মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলিউডের প্রবীণ গীতিকার।
বলি-ক্যুইন কঙ্গনার বিরুদ্ধে জাভেদ আখতারের এই মামলা প্রায় ৫ বছরের পুরনো, ২০২০ সালের। সে বছর অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশেই। আত্মহত্যা না খুন- সেই মীমাংসা আজও হয়নি।
সেই উত্তাল সময়ে ‘নানা মুনির নানা মত’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বিস্ফোরক বক্তব্য।
সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা ‘নেপোটিজম’-এর শিকার, এমন মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার, দেশের অন্যতম সম্মানিত শিল্পী জাভেদ আখতারকে। দোষারোপ করতে গিয়ে দুজনের গোপন এক সাক্ষাৎকারের কথা প্রকাশ্যে এনে যা যা মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা, তা যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে মনে করেন বর্ষীয়ান সুরকার। আর তারপরই তিনি মানহানির মামলা করেছিলেন।
মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় ৪০ দিন মামলার শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। ফলে শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়।
তা শুনে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পাল্টা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক। সওয়াল-জবাবের পর বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তার। যদিও সেই সময়ে আদালতের হুঁশিয়ারি নিয়ে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেননি কঙ্গনা রানাউত।
তবে এবার সাংসদ-অভিনেত্রী নিজেই জানালেন যে, তারা মধ্যস্থতা করে মানহানি মামলার রফা করেছেন।
কমেন্ট