মনে হচ্ছিল, সিনেমা বানিয়ে অপরাধ করেছি: সন্দীপ রেড্ডি

মনে হচ্ছিল, সিনেমা বানিয়ে অপরাধ করেছি: সন্দীপ রেড্ডি

মুক্তির পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। নেতিবাচক সমালোচনা পেলেও সিনেমাটি ২০২৩ এর ব্লকবাস্টার সিনেমাতে পরিণত হয়, যা বিশ্বব্যাপী ৯১৫ কোটি রুপি আয় করে। 

পরিচালক জানিয়েছিলেন, সাধারণ দর্শকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অপ্রতিরোধ্য ভালোবাসার কারণে এই জাতীয় প্রতিক্রিয়া সিনেমার ওপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। 

তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে নেতিবাচক পর্যালোচনাগুলো কোনও সিনেমার পারফরম্যান্সকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

 এ প্রসঙ্গে সন্দীপ রেড্ডি বলেন, ‘কোনো সিনেমা যদি গড়পড়তা হয় এবং তা নোংরা রিভিউ পায়, তাহলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি সত্যিই মনে করি যে সেগুলো সিনেমাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কিন্তু অ্যানিমেল এমন গতিতে এগিয়ে গেছে যে রিভিউ তাতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। যদি একটি ছবিতে ৫০টি ভালো পয়েন্ট থাকে, তবে কেবল ২০টি লক্ষ্য করা গেছে।
পর্যালোচনাগুলো অ্যানিমেলকে প্রভাবিত করেনি কারণ লোকেরা বেরিয়ে এসে বলেছিল যে সিনেমাটি ‘দুর্দান্ত’ ছিল। মুখের প্রচার ছিল খুবই শক্তিশালী। এটি আগুনের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল।’    
পরিচালক জানান, কিন্তু এটা যদি ১৫০-২০০ কোটি আয়ের সিনেমা হতো, তাহলে ফ্লপ ঘোষণা হয়ে যেত।

 এর পর বললেন, আমি যে ধরনের সমালোচনা পেয়েছি, সিনেমাটি ২০০ কোটি আয় করলেও এটিকে ফ্লপ হিসাবে অভিহিত করা হতো কারণ শব্দটি এত বড় ছিল। 
নির্মাতা আরও বলেন, ‘কিছু লোক ছিল যারা অ্যানিমেলের সমালোচনা করে ২ ঘণ্টা ভিডিও বানিয়েছিল। এমন একটি ভিডিও রয়েছে যেখানে ৪-১০ জন একসঙ্গে বসে অ্যানিমেল নিয়ে কথা বলেছেন। এক ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে ছবিটির রিভিউ দিচ্ছিলেন এবং ভিডিওটি ছিল ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের। অনেক সামাজিক সমস্যা আছে এবং কেউ তাদের সম্পর্কে কথা বলে না।


সবাই শুধু সিনেমা নিয়েই আলোচনা করতে চায়। আমি মনে করি চলচ্চিত্র নির্মাতারা সহজ টার্গেট।’ 
কথোপকথনের সময়, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা একটি ঘটনার কথাও স্মরণ করেছিলেন যেখানে একজন আইএএস অফিসার প্রকাশ্যে অ্যানিমেলকে নিন্দা করেছিলেন, যেন ছবিটি তৈরি করা একটি অপরাধমূলক কাজ। 

পরিচালক বলেন, মনে হচ্ছিল, সিনেমা বানিয়ে আমি কোনো অপরাধ করেছি। 

উনি দাবি করেছিলেন, একদিকে আমরা টুয়েলভ ফেইলের মতো সিনেমা নির্মাণ করছি, অন্যদিকে অ্যানিমেলের মতো সিনেমা সমাজকে পশ্চাৎপদ করে তুলছে। কেউ যদি আপনাকে অযথা আক্রমণ করে তবে আপনি রেগে যাবেন। 

তিনি একজন আইএএস অফিসার যিনি অবশ্যই কঠিন পড়াশোনা করেছেন এবং তিনি সেখানে পৌঁছেছেন। তবে দিল্লি গিয়ে, কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে জীবনের ২-৩ বছর দিলে আইএএস পাশ করা যায়। কিন্তু আমি লিখিতভাবে বলতে পারি, এমন কোনো কোর্স বা শিক্ষক নেই যা আপনাকে চলচ্চিত্র নির্মাতা বা লেখক বানাতে পারে।

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও নিয়ে যা বললেন বিদ্যা বালান পরবর্তী

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও নিয়ে যা বললেন বিদ্যা বালান

কমেন্ট