নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে সরকারের নীতিগত অনুমোদন: রিজওয়ানা
আমরা এখনো স্বামী-স্ত্রী, ডিভোর্স প্রসঙ্গে সায়রা বানু
গত বছরের শেষদিকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। দুজনের বিচ্ছেদ ছিল ‘টক অব দ্য টাউন’। একে অপরের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন দুজন। তবে দাম্পত্য জীবন শেষ হলেও এখনো সায়রা বানু নিজেকে রহমানের স্ত্রী হিসেবেই দাবি করেন।কারণ, কাগজে-কলমে এখনো তাদের বিচ্ছেদ হয়নি।
সম্প্রতি রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন সায়রা বানু। সায়রা জানান, তিনি রহমানের ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ নন। তিনি জানান, তাদের বিচ্ছেদ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হয়নি।
আর এ কারণে তিনি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন, তাকে যেন রহমানের ‘এক্স-ওয়াইফ’ বলে সম্বোধন করা না হয়।
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে জানা যায়, সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ আর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সায়রা বানু একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, রহমানের কঠিন সময়ে তিনি তার পাশে রয়েছেন, যদিও তিনিও বর্তমানে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন।
সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ ও অ্যাসোসিয়েটসের মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ আর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে, আমি নিজেও অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হওয়ার পথে রয়েছি এবং আমি তার পাশে আছি। আমরা আমাদের সব শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।
একটি অডিও বার্তায় সায়রা বলেন, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকপ্রাপ্ত নই, আমরা এখনো স্বামী-স্ত্রী।
তবে আমি গত দুই বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে সম্পর্কের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে চাইনি বলেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর এ আর রহমান ও সায়রা বানু তাদের তিন দশকের দাম্পত্য শেষ করার ঘোষণা দিয়েছিল। তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, সম্পর্কের মধ্যে ‘গভীর মানসিক চাপ’ থাকায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রহমান ও সায়রা, তাদের তিন সন্তান খাদিজা, রাহিমা ও আমিন।
কমেন্ট