সংস্কার না হলে স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না আবারও দুঃশাসন ফিরে আসবে: আলী রীয়াজ
সেই যুবকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ায় যা বললেন শবনম ফারিয়া
সম্প্রতি ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খানের প্রতিষ্ঠান ‘রিমার্ক’ বিশ্বের একশ বিলিয়ন ডলারের হালাল কসমেটিকস মার্কেটে প্রবেশ করেছে এবং বিএসটিআই সনদ লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম এই মাইলফলকে গত রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজন করা হয় এক জমকালো অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে শাকিব খানসহ উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, তামজিদ তামিমের সঙ্গে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।
সেখানে অনুষ্ঠানের একটা সময় শবনম ফারিয়াকে হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়— ‘আমি তাসকিনের পাশে দাঁড়াব না, আমাকে খাটো লাগবে, তামিম ভাইয়া তুমি আসো’। আর সেই ভিডিওক্লিপটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এক যুবককে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায়, যা চোখে পড়ে এ তারকার।
বিষয়টি নিয়ে তৎক্ষণাৎ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন অভিনেত্রী। যেখানে সেই যুবকের কমেন্টের স্ক্রিনশট ও ফেসবুক প্রোফাইলের পরিচয় তুলে ধরেন তিনি। যেখানে দেখা যায়, যুবকের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি সাজিদা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওতে চাকরি করেন।
অভিনেত্রীর সেই স্ট্যাটাসের পর পরই সাজিদা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক স্ট্যাটাসে জানানো হয়, রাকিবুল হাসান নামে সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
যেখানে বলা হয়েছে— গত ১৮ মার্চ শবনম ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টে সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মী রাকিবুল হাসান আপত্তিকর কমেন্ট করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের আচরণ (অফিস সময়ের ভেতরে বা বাইরে) সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। স্ট্যাটাসে আরও জানানো হয়, এ নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের সুরক্ষা কমিটির তদন্ত চলছে এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাজিদা ফাউন্ডেশনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে শবনম ফারিয়া পাল্টা এক পোস্টে লিখেছেন— অনলাইনে বা অফলাইনে কেউ-ই কোনো নারীর প্রতি হয়রানি করার অধিকার রাখে না। অসম্মানজনক আচরণ কখনই সহ্য করা উচিত নয়, আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সাজিদা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের এই দ্রুত সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এমন আচরণের ফল ভোগ করতে হয়, তা যেখানেই হোক না কেন। আসুন আমরা সবাই হয়রানির বিরুদ্ধে দাঁড়াই এবং সৌহার্দ ও শ্রদ্ধাশীলতার পরিবেশ গড়ে তুলি।
কমেন্ট