চার দিনের সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
বিচ্ছেদের রহস্য ফাঁস করলেন সালমানের সাবেক ভ্রাতৃবধূ সীমা
বলিউডের ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের ভাই সোহেল খানের সঙ্গে সীমা সাজদেহের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগেই। ১৯৯৮ সালে সীমা সাজদেহকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সোহেল খান। পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সম্প্রতি সীমা সাজদেহ জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে তিনি কী ভাবেন এবং এর ফলে তার জীবন কতটা বদলে গেছে।
তারকা দম্পতিদের বিয়ে ভাঙে কেন? বেশিরভাগ সময়ই কাঠগড়ায় ওঠে পরকীয়া। সীমা সাজদেহ মনে করেন, একেবারেই তা নয়। পরকীয়া নাকি বিয়ে ভাঙার জন্য দায়ী নয়। বিয়ে ভাঙে অন্য কারণে। যেমন তার আর সোহেল খানের বিচ্ছেদ। ভাইজানের সাবেক ভ্রাতৃবধূর এ উক্তি নতুন করে ভাবনায় ফেলেছে বলিউডকে। হঠাৎ করে কেনইবা তিনি সরব এ বিষয়ে? কোনো কারণে কি তিনি অনুশোচনায় ভুগছেন?
দীর্ঘ ২৬ বছর একটানা এক ছাদের নিচে বলেই কি ভালোবাসায় ভাটা? সাম্প্রতিক আলাপচারিতায় প্রকৃত সত্য সামনে এনেছেন সীমা সাজদেহ। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জটিল দাম্পত্য সম্পর্ককে। যার জেরে তাল কেটে যায় বন্ধুত্বের, নড়ে যায় বিশ্বাসের ভিত।
উদাহরণ টেনে সীমা সাজদেহ বলেন, আমরা প্রত্যেকে রক্তমাংসের মানুষ। বিয়ের পরও তাই একাধিক মানুষকে ভালো লাগতেই পারে। এটাই মনস্তত্ব বলে। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই। সম্পর্কে না জড়িয়েও স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়া করতে পারেন। তিনি মনে মনে অন্য নারী বা পুরুষের কথা ভাবলেও তা পরকীয়ার সমান। এ আচরণও সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে জানান সাবেক সোহেলপত্নী।
এ জায়গা থেকে খান পরিবারের সাবেক বধূর যুক্তি— দাম্পত্য কতটা সফল হবে পুরোটাই নির্ভর করে জীবনযাত্রার ওপরে। কোনো কারণে একবার যদি যাপিতজীবন বেসুরো হয়ে যায়, তাহলেই সমস্যা। তাকে আবার সুরে ফেরানো খুবই কঠিন এবং কষ্টের।
এ প্রসঙ্গে আবারও নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে সীমা বলেন, বিয়ের পর আমি প্রতি পদক্ষেপে সোহেলের ওপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম। সবকিছুই ওর ওপরে চাপিয়ে নিজে যেন ঝাড়া হাত-পা। এ আচরণ সঠিক নয়।
তিনি বলেন, এই অতিরিক্ত নির্ভরতা তাদের সম্পর্কে ছায়া ফেলেছিল। সীমা এ-ও জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে এ বিষয়ে সচেতন না হলে তিক্ত দাম্পত্যের জের এসে পড়ে সন্তানদের ওপরেও, যা একেবারেই কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, খান পরিবারের বউ সীমা সাজদেহকে একসময় 'খান' নামেই তাকে চিনতেন বেশিরভাগ মানুষ। সালমান খানের পরিবারের বউমা ছিলেন বলে এ নামেই সবাই তাকে চেনেন এবং জানেন। সোহেল খানের থেকে আলাদা হওয়ার পরও সীমা সাজদেহ শুরুতে সোহেলের বাড়ির কাছাকাছিই একটি বাড়িতে থাকতেন। পরে বান্দ্রা থেকে ওরলিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। তার ছোট ছেলে ইয়োহানের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে সে আরও বেশি লোকজন ও খেলার সঙ্গী পায়। আর এতে বড় ছেলে নির্বাণ বিশেষ খুশি নয়। তিনি যা ভেবেছিলেন সেটি ঘটেনি। ছেলেরা এখন তার বাবার বাড়িতেই বেশি সময় থাকে।
কমেন্ট