আগামী বছর সেপ্টেম্বরের আগেই ভোটার তালিকা,নিবন্ধন দেওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা: সিইসি
সাগর-রুনি হত্যা: ৮১ বারেও দাখিল হলো না প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি আজ সোমবারও। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রতিবেদনের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৪ নভেম্বর।
এ নিয়ে ৮২ বার পেছাল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ।
আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চারদিনে কোনো রহস্য উৎঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত সাত বছরেও র্যাব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উৎঘাটন করতে পারেনি।
সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল প্রকৃত ঘটনার রহস্য উম্মোচনের বিষয়ে কিন্তু মেলেনি। মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় এসে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উৎঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উৎঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরণের প্রতিবেদনের ভেতরই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অপর আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
কমেন্ট