রংপুরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
রংপুরের হারাগাছে পুলিশের হেফাজতে তাজুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত ঘটনা ও এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তকে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জানানোর আদেশ দেন।
রংপুরের হারাগাছের ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গতকাল রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপতি এলাকায় পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে। তাজুল ইসলাম (৫২) উপজেলার হারাগাছ নয়াটারী দালালহাট গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনার পর পুলিশের পিটুনিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে থানা ঘেরাও করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাজুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি মাদকসেবী ছিলেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন। অভিযান চালানোর সময় তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল পৌরসভার দরদী স্কুলের পাশে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে মারা যান পাশের পাইকারপাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের আভিযানিক দল তাজুল ইসলামকে আটকের পর হাতকড়া পরায়। এরপর তার মাথায় কনুই দিয়ে আঘাত করলে তিনি পাশের দেয়ালে ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
কমেন্ট