আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী :প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সম্পত্তি অডিটে হাইকোর্টের নতুন নির্দেশ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব সম্পত্তি দেশের যেকোনো স্বনামধন্য অডিট ফার্মকে দিয়ে অডিট করানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইভ্যালির পরিচালনায় গঠিত বোর্ডকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ইভ্যালির বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেন, ‘আজকে আদালতে দুটি আবেদন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একজন গ্রাহক ইভ্যালির পণ্যের পেমেন্ট না পাওয়াতে এই মামলায় পক্ষভূক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন। কোর্ট তাঁর আবেদনটি নথিভূক্ত করেছেন।’
ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব আরও বলেন, ‘ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষ থেকে আরেকটি আবেদন করা হয়।’
২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আদালতের একটি আদেশ দিয়েছিলেন ইভ্যালিকে অডিট করবে কেপিএমজি নামে একটি কোম্পানি। কেপিএমজি অডিটের জন্য ইভ্যালির কাছে ৮৬ লাখ টাকা চায়। এই অর্থ তারা কমাতে বলে ইভ্যালির বোর্ড আদালতের কাছে অন্য কোনো অডিট ফার্মকে দিয়ে ইভ্যালির অডিট করানোর আবেদন জানায়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ অন্য কোনো স্বনামধন্য অডিট ফার্মকে দিয়ে অডিট করোনোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় গঠিত বোর্ড কী ধরনের কাজ করবে-সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তাঁরা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে।
বোর্ডের দায়িত্ব হলো- টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। এসবের পর বোর্ড যদি দেখে, কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন কোম্পানির বিষয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আবেদন করবে। আবেদনকারীর সঙ্গে বোর্ডকেও একই কথা বলতে হবে। আর যদি তারা বলেন- কোম্পানি চালানো সম্ভব, তাহলে চলবে।
জানতে চাইলে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বোর্ড শুরুতেই ইভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে অডিট করবে। তাদের কাছে দায়-দেনার পরিমাণ, কত অর্থ তাদের কাছে ভোক্তাদের পাওনা, তাদের কত সম্পদ আছে তা খতিয়ে দেখবে। এজন্য শুরুতেই অডিট করবেন তারা।’
ব্যারিস্টার মাসুম আরও বলেন, ‘কোম্পানিটির যে দেনা রয়েছে, তা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে, কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব, নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিত, এসব বিষয়ে অডিটের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কোম্পানিটি পরিচালনা সম্ভব হয়, তাহলে বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেওয়া হবে।’
ব্যারিস্টার মাসুম আরও বলেন, ‘যেহেতু ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চেয়ারম্যান কারাগারে রয়েছেন, তাই এ কোম্পানি পরিচালনা করতে যা যা করতে হয় তার সবই করবে এ বোর্ড।’
কমেন্ট