বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফন : তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফন : তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যানকে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে গার্ড অব অনার ছাড়া দাফনের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, ‘গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। এটা সহ্য করা যায় না।’

একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্তে ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

গত ৩১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দ্রুত আবদুল মোতালেব শিকদারের কবরস্থানে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারের জানাজায় গার্ড অব অনার না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। গত ২৮ জানুয়ারি রাতে বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা মোতালেব শিকদার মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এজন্য মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার পারা যায়নি। পরে ২৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনের তালিকা চান হাইকোর্ট পরবর্তী

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনের তালিকা চান হাইকোর্ট

কমেন্ট