সেই তরুণীকে কানাডা সরকারের তত্ত্বাবধানে দিলেন হাইকোর্ট

সেই তরুণীকে কানাডা সরকারের তত্ত্বাবধানে দিলেন হাইকোর্ট

রাজধানীর উত্তর মুগদায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের হেফাজতে থাকা জন্মসূত্রে কানাডীয় তরুণীকে সে দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

রোববার এ সংক্রান্ত রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

শুনানি শেষে নিরাপত্তা, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সব ধরনের দায়িত্বের নিশ্চয়তার শর্তে কানাডিয়ান দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে ওই তরুণীকে সেদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিটের শুনানির সময় আদালতে তরুণীর বাবা-মা ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীকে আজই (রোববার) ওই তরুণীকে কানাডিয়ান হাইকমিশনে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

৫ এপ্রিল রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে বাবা-মায়ের বাসায় গৃহবন্দি থাকা কানাডিয়ান তরুণীকে হাজির করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মুগদা থানার পুলিশ ও তার বাবা-মাকে তরুণীকে হাজির করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ১৯ বছরের তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

রিটের নথি থেকে জানা যায়, ওই তরুণীর জন্ম কানাডায়। তিনি জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানি ও মা সব সময় বাসায় বন্দি করে রাখেন। একপর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ডফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনকে তাকে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।

৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট করে। রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।

এবার একসঙ্গে পাঁচ ধর্ষণ মামলার রায় দিলেন সেই বিচারক পরবর্তী

এবার একসঙ্গে পাঁচ ধর্ষণ মামলার রায় দিলেন সেই বিচারক

কমেন্ট