জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতিকাণ্ডে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে মোটরযান ফেরত দেওয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার এজাহার ও এফআইআর আসে। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দা তা গ্রহণ করে আগামী ২৬ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০-এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে, আদালতের মোটরযান শাখার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ উদ্দিন এবং কনস্টেবল আবু মুছাকে। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) আশ্রাব আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নং আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সঙ্গে নন এফআইআরের দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু, আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। পরবর্তীতে বিচারক জানতে পারেন, মামলা দুটির জব্দকৃত আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর প্রদান করে আসামিদের দিয়ে দেয়। যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত।
এ ছাড়া মামলার নথিতে বিচারকের কোনো স্বাক্ষর নেই এবং কোনো জরিমানা করা হয়নি। বিচারক ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘ দিন বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
কমেন্ট