অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : আইজিপি
সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাধীতে আ’লীগের শ্রদ্ধা
আজ সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রিয় নেতা ও দলের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদকের কবরে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্ব দেন। এ সময় সৈয়দ আশরাফের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর আজকের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আশরাফ।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জন্ম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে। তার বাবা জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
সৈয়দ আশরাফ ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান তিনি। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে।
২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে দুই দফা দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৫ সালে তাকে প্রথমে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও পরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালের জাতীয় সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর প্রথমে দলীয় সভাপতি ও পরে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আশরাফ। পরে ২০০৯ ও ২০১২ সালের সম্মেলনে পরপর দুই দফায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে তাকে সর্বশেষ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল।
কমেন্ট