নতুন ৬ ফেরি যোগ হচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি’র বহরে

নতুন ৬ ফেরি যোগ হচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি’র বহরে

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর বহরে উন্নতমানের ৬টি নতুন কে টাইপ (মিডিয়াম টাইপ) ফেরি যোগ হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। চট্রগ্রামের কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ফেরিগুলো সরবরাহ করবে। সূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ÔProcurement of 35 Nos. Commercial & 8 Nos. Auxiliary Vessels and Construction of 2 new Slipway’ শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১২৫৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিআইডব্লিউটিসি’র নিজস্ব তহবিল ৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির অনুমোদিত বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। সূত্র জানায়, অনুমোদিত প্রকল্পের প্যাকেজ সমূহের মধ্যে ৬টি ইমপ্রুভ কে টাইপ ফেরি নির্মাণ ও সরবরাহের জন্য ‘ওয়ান স্টেজ টু এনভেলপ’ পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তিটি সিপিটিইউ এবং বিআইডব্লিউটিসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দরপত্র দলিল দাখিলের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্র মূল্যায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২১ আগষ্ট ৭ সদস্যের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা হয়। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বরও দরপত্র উন্মুক্তর কমিটির উপস্থিতিতে দরপত্র খোলা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স । দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক পিপিএ-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৯৮ এর আলোকে প্রাপ্ত দরপত্রসমূহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক দরপত্র যথাযথ মূল্যায়নের পর প্রাথমিক এবং কারিগরি মূল্যায়নে দুটি দরদাতা প্রতিষ্ঠান দরপত্র দলিলের সব শর্ত পূরণ করায় টেকনিক্যালি রেসপন্সিভ বলে বিবেচিত হয়। এরপর দরপত্র দাখিলকারী উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ফাইন্যান্সিয়াল অফার খোলা হয়। এতে দেখা যায় কর্ণফুলি শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৬৮ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা অফার করে। যা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ১৩৯ কোটি ৫৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা অফার করে। যা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ কম। দরপত্রে প্রাক্কলিত দর ছিল ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিবেচ্য ক্রয় প্রস্তাবের দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ দরপত্র উন্মুক্তকরের তারিখ ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিন অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ আছে। এ অবস্থায় দরপত্রের সব শর্ত পূরন করায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্সকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করেছে। ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আজও প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী

ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আজও প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

২২ জানুয়ারি চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট পরবর্তী

২২ জানুয়ারি চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট

কমেন্ট