সিটি নির্বাচনী প্রচারণায় সংসদ সদস্যরা অংশ নিতে পারবেন না: সিইসি
আসন্ন ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপিরা প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিইসি ও কমিশনারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপিরা নির্বাচনে সমন্বয়ের কাজও করতে পারবেন না। বলেন, কোনো এমপি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না, নির্বাচনী কার্যক্রমে থাকতে পারবেন না এবং নির্বাচন সমন্বয়ও করতে পারবেন না।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ কী দায়িত্ব দিয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসি জানে না। এ ব্যাপারে ইসি অবহিত হলে নিষেধ করা হবে।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি অনুসারে, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বাধা রয়েছে—এমন ব্যক্তিরা প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে পারবেন না। ভোট চাইতে পারবেন না। তবে তারা মুজিব বর্ষের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
এর আগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাখ্যা জানতে আসা হয়েছিল। বলেন, নির্বাচনী সমন্বয়কারী হিসেবে সংসদ সদস্যদের কার্যালয়ে বসে পরিকল্পনা করতে বাধা নেই। তবে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া যাবে না। সমন্বয়কারীরা ভোট চাওয়া ছাড়া অন্য সব কিছু করতে পারবেন। তারা কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। তিনি জানান, বৈঠকে মাহবুব তালুকদার ছাড়া বাকি কমিশনাররা একমত হয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচন হবে।
কমেন্ট