আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি দলের নেতাকর্মীদের পকেট ভারীর রাজনীতিও করে না। তিনি রাজনীতি করেন দেশের জনগণের ও তাদের ভাগ্য উন্নয়নের। শেখ হাসিনা গরিবের সরকার। বিএনপি গরিবের জন্য নয়। বিএনপি মানে দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, নারী ধর্ষণ আর অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। শহরের বিমানবন্দর সড়কের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনি ফাইভ স্টার মাঠে ওই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দুর্যোগ, ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুল রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এতে নারী সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মেমিনসহ রংপুর বিভাগের আটটি জেলার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছেন- চলতি শীত মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত পড়েছে। তাই শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে উত্তরাঞ্চলের একজন শীতার্ত মানুষও যাতে কষ্ট না পায়, একজন মানুষেরও যেন মৃত্যু না হয়। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আজ আপনাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এসেছি। কাদের বলেন, শেখ হাসিনাকে আপনাদের আপন মানুষ। তাই তিনি আপনাদের সকল দুঃখ, কষ্ট কথা বোঝেন। সব সময় আপানদের পাশে থাকেন। অতীতেও ছিল এবং আগামীতেও থাকবেন। বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি করে, তারা জনগণের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই তারা আজ শীতার্তদের পাশে নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বসে টেলিভিশনে শুধু নালিশ করেন।