এখন থেকে সপ্তাহের সাতদিনই শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত

এখন থেকে সপ্তাহের সাতদিনই শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত

এখন থেকে সপ্তাহের সাতদিনই শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর (মেট্রোপলিটন) এলাকায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি আয়োজিত এক সভায় এ ঘোষণা দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম।

এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বাসে অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার এ সুবিধা পাবেন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় অথবা সঙ্গে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র থাকতে হবে। 

মালিক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ও পরিবহণ খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত শনিবার সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি সভা হয়। সেখানে সপ্তাহে পাঁচ দিনের বদলে সাতদিনই হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। গণআন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদানের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এ সিদ্ধান্ত নেন মালিক সমিতির নেতারা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর সপ্তাহে ৫ দিন (শুক্র-শনিবার ব্যতীত) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস চালু করেছিল। সময় ছিল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা। 

মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সংস্কার হচ্ছে। পরিবহণের মালিক ও শ্রমিকদেরও নিজেদের সংস্কার করতে হবে। নিজেদের অনিয়ম ও ভুলগুলো নিয়ে সমালোচনা করতে হবে। আমরা যদি অন্যায় না করি, আইন যদি অমান্য না করি, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি না চালাই, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় যদি না নামাই, তাহলে সড়ক হবে নিরাপদ ও বিশৃঙ্খলামুক্ত।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বকস, মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ মেহেদি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম। সচেতনতা সভায় ঢাকা মহানগরে চলা বিভিন্ন পরিবহণ কোম্পানির মালিক ও শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নয়, সুবিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন চায় সরকার: আইন উপদেষ্টা পরবর্তী

প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নয়, সুবিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন চায় সরকার: আইন উপদেষ্টা

কমেন্ট