প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

উলুধ্বনি, ঢাকের বাদ্য, সিঁদুর খেলা, প্রতিমা বিসর্জন আর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় দিলেন ভক্তরা। শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। 

রোববার মন্দিরে মণ্ডপে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর নানা আচার শেষ হয়। রাজধানীতে বিকালে শোভাযাত্রা করে সদরঘাটের ওয়াইসঘাটে ও তুরাগ নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ বছরের দুর্গাপূজা। শাস্ত্রমতে, দুর্গা এবার মর্ত্যে এসেছেন দোলায় চেপে, ফিরেছেন ঘোড়ায় চড়ে। 

দশমীর দিন রক্তদান কর্মসূচিরও আয়োজন করে পূজা উদযাপন পরিষদ। এদিন বিকাল ৩টায় ঢাকার পলাশীর মোড় থেকে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। এবারের দুর্গোৎসবে তিথির কারণে নবমীর দিনই বিহিত পূজা এবং ‘দর্পণ বিসর্জন’ হয়। রোববার দশমীর দিন সিঁদুর খেলা, দুর্গাকে মিষ্টি মুখ করানো এবং প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রার আয়োজন রাখা হয়।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বেলা ১১টা থেকে দুর্গার কপালে এবং অন্যের গালে-কপালে সিঁদুর মাখানোর আনুষ্ঠানিকতায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। নাচে-গানে দেবী দুর্গার নামে জয়ধ্বনি করেন তারা। ঢাকার রমনা কালীমন্দিরাসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির মণ্ডপে বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলায় মাতেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা।


ঢাকেশ্বরী মন্দিরের উপদেষ্টা পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী বলেন, সিঁদুর হলো সধবা নারীর প্রতীক। সধবা নারীরা সিঁদুর দিয়ে সংসারের জন্য কল্যাণের প্রার্থনা করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা কর্মের প্রয়োজনে নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকি। মায়ের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সংসারের সবাই একত্রিত হয়েছি। মায়ের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও আবার ছড়িয়ে যাব। এই বিদায় মুহূর্তে আমরা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করি এবং সবার যেন কল্যাণ হয় তার জন্যই এ সিঁদুর খেলি। বিশেষ করে সধবা নারীরা সংসারের কল্যাণের জন্য এই সিঁদুর খেলায় অংশ নেন। এটি আমাদের পারস্পরিক ঐক্য, সোহার্দ্য বজায় রাখার বার্তা দেয়।

হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবী দুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।

মহালয়ার মধ্য দিয়ে ২ অক্টোবর এবারের দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছিল। 

ওইদিন থেকেই দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। এরপর গত বুধবার ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল রোববার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়। 

ভারতে ২৪২০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ গেছে ৫৩৩ টন পরবর্তী

ভারতে ২৪২০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ গেছে ৫৩৩ টন

কমেন্ট