অভিযোগ ওঠা কোর্টের বিচারপতিদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

অভিযোগ ওঠা কোর্টের বিচারপতিদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।


আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় থেকে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এদিন সকালে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে নিজ কার্যালয়ে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। এরপর তাদের মধ্যে ছয়জন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে যান। এরপর আলোচনা শেষে তাদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

এদিন প্রধান বিচারপতির দপ্তরে আসেন বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ মো. নুরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম। তবে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের একজন অবশ্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

 

এদিকে, আওয়ামীপন্থি বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল নিয়ে এসে স্লোগান দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে আওয়ামীপন্থি বিচারকদের পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দেন তারা। 

এর আগে সাড়ে ১২টার পর রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে জড়ো হয়ে হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে মিছিলটি স্লোগানে স্লোগানে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে আসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে থেকে স্লোগান দিতে থাকেন। পাশেই আইনজীবীদের একটি অংশ ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।


এদিকে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরে দেখা গেছে সেনা সদস্যদেরও।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতিকে ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক’ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই কর্মসূচির ডাক দেন তিনি। 

সুপ্রিম কোর্টে দলবাজ, দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে কয়েকদিন বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজও আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলছে।

 

এর আগে গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডাকেই হাইকোর্টে জড়ো হয়েছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাদের দাবির প্রেক্ষাপটে ওই দিনই পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।

আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি মতিয়া চৌধুরীর ইন্তেকাল পূর্ববর্তী

আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি মতিয়া চৌধুরীর ইন্তেকাল

সাগর-রুনি হত্যা: ১১২ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন পরবর্তী

সাগর-রুনি হত্যা: ১১২ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

কমেন্ট