বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি
নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পরিকল্পনাকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশি জনগণকে তাদের নিজস্ব পছন্দের সরকারের প্রতিনিধি বেছে নিতে সহায়তা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনি প্রস্তুতির জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা স্বাগত জানাই।’
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই পুরো প্রক্রিয়ায় আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখানোকে উৎসাহ দিচ্ছে, পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উত্তরণের ফলাফলকে সম্মান জানাচ্ছে।’
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ক্ষুদ্রঋণের অগ্রদূত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন দেশের সাধারণ নির্বাচন আগামী বছরের শেষভাগে অথবা ২০২৬ সালের প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত আগস্টে পালিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে চলে যান। তার সময়ে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েমের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ক্ষমতায় থাকাকালে একতরফা নির্বাচন আয়োজন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও আটকের মতো ঘটনার বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বেদান্ত প্যাটেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রাথমিক তদন্তের সাম্প্রতিক ফলাফলে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ হয়েছে, যাতে দেখা গেছে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য সাবেক কর্মকর্তারা ব্যাপকভাবে মানুষ গুম করার কাজের জড়িত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্যাটেল বলেন, ‘আমরা এ সমস্ত অপরাধ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং অপরাধের শিকার লোকজন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুবিচার পাওয়ার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করি।’
এ ছাড়া বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের সমর্থনপুষ্ট সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কমেন্ট